Monday, April 8, 2013

রাষ্ট্র বনাম মানব - বিশ্লেষণে মানুষের আত্মঘাতী বা বৈপরীত্য নীতি


বাংলাদেশের মানুষকে সভ্যতা অনেক পরে স্পর্শ করেছে, করছে, করবে কারণ একটি সভ্য জাতি গঠন করতে যে ধরনের মুক্ত বুদ্ধির মানসিকতা প্রয়োজন সংস্কৃতির চর্চা এবং কারিগরি ও বিজ্ঞান ভিত্তিক সিক্ষার অভাবের ফলে মানুষ ঝোকে পরেছে কাল্পনিক, অযৌক্তিক, ভাববাদী সিক্ষার দিকে। এর প্রধান কারণ অপরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা।
সত্য জানা, বোঝা, জানানো, বুঝানো প্রত্যেকটাই সমান গুরুত্ব বহন করে। 


মানুষ কেন লোভ করে?
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমনই  ভঙ্গুর চিন্তা দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে  যার  ফলে মানুষ এখন আর সত্যকে সত্য বলে কেউ এখন আর মনে করে না / সত্যকে মানুষ ভাবে নিথ্যা  আর নিথ্যাকে ভাবে সত্য/


এরা লোভী, অলস, অন্ধ বিশ্বাসী। এরা বিজ্ঞানে পড়ে কিন্ত বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে না। এরা দর্শন পড়ে কিন্ত ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগায়না। যৌক্তিক কথা বলে এবং শুনে কিন্ত নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করে। যেখানে নিজ স্বার্থ জড়িত সেখানে যৌক্তিক্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়না। অধিকাংশই চোখ থাকতে চোখে দেখেনা।

আদিকাল থেকে মানুষের চিন্তা, কর্ম, জীবনের গতি, সংস্কৃতি, চেতনা ছিল বস্তু কেন্দ্রিক এবং প্রকৃতি নির্ভর। যদিও তাদের বিজ্ঞানের পরিক্ষিত তথ্য, প্রমাণ, উপাত্ত জানা ছিল না তথাপি অনেকাংশেই সমস্যার সমাধান করতো কাণ্ডজ্ঞান দ্বারা।  
সামাজিক বা সমাজবদ্ধ মানুষ এখন পর্যন্ত যা কিছু সৃষ্টি বা আবিষ্কার করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আবিষ্কার হল রাষ্ট্র। যদিও জন্মগত ভাবেই মানুষ রাজনৈতিক প্রানী-জীব। একই সাথে মানুষকে দেখা যায় লোভ, কর্তৃত্ব, শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন করতে।


পূজিবাদী সমাজ সৃষ্টির পরের মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কারণে অকারণে অনিষ্ট করে। অন্যের অধিকার নষ্ট করে। হিংসা-ঈর্শা কুৎসা ঝগড়া মারামারি কাটাকাটি ইত্যাদি করে। করতে আনান্দ পায়। মনস্থাত্বিকভাবে প্রাণী হিসাবে  মানুষ নিজেকে নিয়ে ভাবতে, গড়তে, পড়তে, লিখতে, জানতে, শুনতে ইত্যাদি করতে পছন্দ করে। নিজকে সুন্দর গুছালো উন্নত আধিপত্য সৃষ্টিকারী প্রতিপত্তি সম্পন্ন নির্যাতনকারী প্রধান ব্যক্তি হিসাবে দেখতে চায়।