কমরেড
নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘিরপাড়
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন
এবং ৮ জানুয়ারী ২০১৩
সালে কমরেড নির্মল সেনের
পার্থিব কর্মময় জীবনের
অবসান ঘটে। মৃত্যুর পর তার মরদেহ তুলে
দেওয়া হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার কাজে।
তাঁর বাবার
নাম সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
এবং মায়ের নাম লাবণ্য
প্রভা। ৫
ভাই ও ৩ বোনের
মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। ১৯১৪ সালে মাত্র
১৪ বছর বয়সে তিনি
মেট্রিক পাস করেন। বরিশাল বিএম কলেজ
থেকে আইএ ও ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ
ও এম এ পাশ
করেন।
১৯৪২
সালে নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন ১৬ দিন
স্কুল গেটে শুয়ে থেকে ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেন তিনি। যোগ দেন তৎকালীন স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংঘঠন
অনুশীলন সমিতিতে। এরপর যোগ দেন আরএসপি-তে। শ্রমিক-কৃষক-সমাজবাদী
দলের প্রতিষ্ঠার অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।
এছাড়াও তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির
সভাপতি। জীবনের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন
কারাগারে। ১৬ বার তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও তিনি ছিলেন সক্রিয়।
সাংবাদিকতা
পেশা দিয়ে ১৯৫৯ সালে দৈনিক “ইত্তেফাক” পত্রিকার মাধ্যমে
সহ-সম্পাদক হিসাবে তাঁর কর্মময় সাংবাদিক জীবনের শুরু
হয়।
নির্মল
সেন কর্তৃক লিখিত বইগুলো হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারেণ্টি চাই, বার্লিন
থেকে মস্কো, লেনিন থেকে গর্বাচেভ, আমার জবানবন্দি, মা
জন্মভূমি, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র এবং আমার জীবনে ’৭১-এর
যুদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ রুশ বিপ্লব; আমাদের শিক্ষা ও করণীয়